বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মো. আলী হোসেন (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে রংপুর জেলার মিঠাপুকুরের ৩ জনের নাম রয়েছে। গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের আত্মীয় মো. মফিজুল ইসলাম সানা ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট (উত্তরা পূর্ব) আমলি আদালতে মামলাটি করেন। সিআর মামলা নম্বর-৪৪/২০২৪।
মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্চাসেবক লীগের আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার তিন আসামি হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান মণ্ডল (আসামি ৫৯), মিঠাপুকুর উপজেলার কাফিখাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফুয়াদ মণ্ডল (আসামি ৬৫) ও মিঠাপুকুর উপজেলার কাফিখাল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আরিফ মণ্ডল (আসামি ১১০)।
জানা যায়, শেখ হাসিনার ডাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতে এসব নেতাকর্মীরা রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অবস্থান করেছিলেন।
একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-জনতার সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। নেতাকর্মীরা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদ্যসরা ছাত্র জনতার ওপর গুলি চালাতে থাকে। এতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে থাকা আলী হুসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার পেট, বুক ও মাথায় গুলি লাগে এবং রাস্তায় পড়ে থাকেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মধ্য থেকে কয়েকজন গিয়ে আলী হুসেনের হাত-পা ধরে তুলে নিয়ে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলী হুসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী উত্তরার পূর্ব থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পূর্ব পাশে আজমপুরে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা।
ওই দিন শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের নির্দেশনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেয়।
0 coment rios: